ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: গফরগাঁওয়ের ৯ জনের রায় বৃহস্পতিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
মানবতাবিরোধী অপরাধ: গফরগাঁওয়ের ৯ জনের রায় বৃহস্পতিবার

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ৯ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
 
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ দিন ঠিক করে দেন।


 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, জাহিদ ইমাম ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
 
পরে আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, মোট আসামি ছিলেন ১১ জন। এই ১১ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় ২০১৮ সালের ৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। পরে গ্রেফতার একজন ও পলাতক একজন মৃত্যুবরণ করেন।

এ মামলায় গ্রেফতার ছিলেন, মো. খলিলুর রহমান মীর, মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আব্দুল লতিফ।
 
পলাতক ছিলেন, এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা, আলিম উদ্দিন খান ও নুরুল আমিন শাহজাহান। এর মধ্যে বিচার চলাকালীন মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার ও পলাতক থাকা অবস্থায় নুরুল আমিন শাজাহান মারা যান।
 
২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রাম এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
ইএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।