ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি সাক্ষী দেন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৫ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কে এম খালিদ। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত হন তিনি।
আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন সুলতান মাহমুদ সীমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার। ১৯৭১ সালের ৭ আগস্ট নির্যাতনের বর্ণনা দেন কে এম খালিদ।
এম এ হান্নানসহ এ মামলার ছয় আসামি কারাগারে আছেন। অন্য পাঁচজন হলেন—এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ, ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, মিজানুর রহমান মিন্টু, মো. হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার। পলাতক দুই আসামি হলেন—ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।
২০১৯ সালের ২৭ মে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১১ জুলাই হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা।
২০১৫ সালের ০১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেফতার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেফতার হন বাকি তিনজন।
একই বছরের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।
মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
ইএস/এমজেএফ