ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

রংপুরে ঘুষের মামলায় দুই প্রকৌশলী কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
রংপুরে ঘুষের মামলায় দুই প্রকৌশলী কারাগারে

রংপুর: রংপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতাধীন কাজে ঘুষ দাবি ও সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুই প্রকৌশলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তারা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. শাহেনূর জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অভিযুক্তরা হলেন এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারম্যান কাওছার আলম।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, রংপুরে এলজিইডির আওতায় চার কোটি ২৬ লাখ ও দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে দু’টি প্যাকেজে মোট ছয় কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিধি মোতাবেক ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ও ওই বছরের ৪ মার্চ দরপত্র জমা দেন নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার মৃত আশরাফ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে ঠিকাদার রবিউল আলম বুলবুল।  

কিন্তু দরপত্র দু’টি গ্রহণ ও অনুমোদন করার পরও নোটিফিকেশন অফ অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) না দিয়ে রবিউল আলম বুলবুলের কাছে মোট কাজের বরাদ্দের (ছয় কোটি ৬৬ লাখ টাকা) দুই শতাংশ হারে ঘুষ দাবি করেন ওই দুই প্রকৌশলী। এ অবস্থায় ঠিকাদার রবিউল আলম বুলবুল দুই শতাংশ টাকা না দেওয়ায় তাকে নিষ্ক্রিয় হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েও তাকে কাজ না দিয়ে অন্য একজনকে কাজ দেওয়া হয়।  

এ ঘটনায় রবিউল আলম বুলবুল বাদী হয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে (দুদক) এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারম্যান কাওছার আলমকে আসামি করে ২০১৯ সালের ৭ মে মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরে দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন পান। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জামিনের মেয়াদ শেষ হলে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

দুদকের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম হারুন-উর রশীদ জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অন্য একজনকে কাজ দেওয়ায় সরকার এক কোটি ২৬ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই দুই প্রকৌশলীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত দু’জনের মধ্যে আখতার হোসেন পরে বদলি হয়ে ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে যান এবং অপরজন রংপুরে কর্মরত আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।