ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বুড়িগঙ্গার দূষণ বন্ধে ওয়াসা-রাজউকের প্রতি নির্দেশনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
বুড়িগঙ্গার দূষণ বন্ধে ওয়াসা-রাজউকের প্রতি নির্দেশনা

ঢাকা: বুড়িগঙ্গার পানি দূষন বন্ধে ঢাকা ওয়াসা এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি কয়েকদফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) এসব নির্দেশনা দেন।

আদালতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, ওয়াসার পক্ষে অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা এবং রাজউকের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন।

পরে মনজিল মোরেসদ জানান, আদালত শুনানি শেষে ওয়াসাকে বুড়িগঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকায় সকল ভবন মালিক/ব্যবসায়ী যাদের ভবনে পয়ঃপ্রণালি লাইনের সংযোগ বা সেপটিক ট্যাংকের ব্যবস্থা নেই কিন্তু পানির সংযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে নোটিশ দিয়ে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে পানি শোধনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এ নোটিশ প্রদান এবং উক্ত নোটিশ সম্পর্কে  প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সবার অবগতির জন প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ওয়াসাকে নদী তীরবর্তী এলাকায় জনসাধারণকে  জানাতে মাইকের মাধ্যমে উক্ত বিষয় প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওয়াসার এমডিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদন পরে প্রতি ৩ মাসে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত রাজউককে ৭ দফা নির্দেশনা দেন—(১) কোন লে-আউট প্ল্যানে সেপটিক ট্যাংক/পয়ঃলাইন না থাকলে অনুমোদন না করার নির্দেশ (২) সেপটিক ট্যাংক না থাকলে ভবনের Occupancy Certificate দেওয়া যাবে না (৩) আইন ভঙ্গ করে কাজ করলে ভবন নির্মাণ আইনের ১২ ধারায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ (৪) ৩ থেকে ৬ মাসের নোটিশ দিয়ে ভবনে পয়ঃপানি শোধনের ব্যবস্থা নতুবা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ (৫) পরবর্তীতে তৈরিকৃত সেপটিক ট্যাংক মূল নকশার অংশ বিবেচিত হবে (৬) নোটিশের পর কোনো ভবন মালিক মডিফাই না করলে ইমারত নির্মাণ আইনের ৭ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ (৭) ১৫ দিনের মধ্যে প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদন পরে প্রতি ৩ মাসে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।

বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ বন্ধে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর ২০১০ সালে দায়ের করা জনস্বার্থের রিট মামলায় ২০১১ সালের ১ জুন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে ওয়াসা এমডিকে ৬ মাসের মধ্যে নদীতে সংযোগকৃত পয়ঃ/বর্জ্য লাইন বন্ধ করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রিট মামলাটি চলমান রাখা হয়। আদেশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেয়ায় এইচআরপিবির পক্ষে সম্পূরক আবেদন দাখিল করে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানালে আদালত কয়েক বার এভিডেভিট দাখিলের নির্দেশ দিলে ওয়াসার এমডি পক্ষে গত ২১ জানুয়ারি এবং ৪ ফেব্রুয়ারি এভিডেভিট দাখিল করা হয়। উক্ত এভিডেভিটের জবাবে আপত্তি দাখিল করে এইচআরবিপি পক্ষে যথাযথ আদেশ ও নির্দেশ প্রার্থনা করলে শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত আদেশ দেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।