ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জামিন পেয়েও মুক্তি পাননি মুক্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
জামিন পেয়েও মুক্তি পাননি মুক্তি সহিদুল রহমান খান মুক্তি

টাঙ্গাইল: অস্ত্র মামলায় জামিন পেয়েও কারাগারে বন্দি টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুল রহমান খান মুক্তি।  

রোববার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

তবে জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না টাঙ্গাইল কারাগারে বন্দি সহিদুরের।  

আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের হত্যা মামলায় তিনি এখনো জামিন পাননি।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ছয় বছর পলাতক থাকার পর গত ০২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশ হেফাজতে ওই দিনই তিনি দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন অস্ত্র মামলায়ও আত্মসমর্পণ করেন। তারপর থেকে তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। রোববার আইনজীবীদের মাধ্যমে সহিদুর অস্ত্র মামলায় জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সাউদ হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বাংলানিউজকে জানান, অস্ত্র মামলায় জামিন পেলেও এখনও কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না সহিদুর। ফারুক হত্যা মামলায় জামিন না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে থাকতে হবে।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ফারুক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের তৎকালীন এমপি আমানুর রহমান খান রানা, টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন এবং কেন্দ্রী ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তার পরেই সহিদুর রহমান আত্মগোপনে চলে যান।

সহিদুর আত্মগোপনে থাকাকালে ২০১৫ সালে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী থেকে কাদের জোয়ারদার নামে এক ব্যক্তিকে দু’টি পিস্তলসহ গ্রেফতার করে। তিনি পুলিশকে জানান, এই পিস্তল সহিদুর রহমান খান মুক্তি তার কাছে রাখতে দিয়েছিলেন। এ মামলায় কাদের জোয়ারদার, সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও নুরু নামক অপর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।