ঢাকা: চলমান বিধি-নিষেধের ১৪ কার্যদিবসে সারাদেশের শিশু আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে ৩০৮ শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩ মে) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, চলমান বিধি-নিষেধের ১৪ কার্যদিবসে ভার্চ্যুয়াল আদালতের মাধ্যমে ৩০৮ শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম আট দিনে ১৬৭ জন। পরের ছয় দিনে ১৪১ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ৪৭৯টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
 
বিধি-নিষেধের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চালাতে  প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে গত ১১ এপ্রিল রোববার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মহামারি ব্যাপক বিস্তার রোধে গত ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
 
‘প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা- “আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’’ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক জারি করা এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ পূর্বক শুধু জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ’
 
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দেওয়া জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট /চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিন নামা দাখিল করতে হবে। এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২১
ইএস/আরআইএস