ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

তানিয়া হত্যা মামলায় কথিত প্রেমিকের জামিন স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২১
তানিয়া হত্যা মামলায় কথিত প্রেমিকের জামিন স্থগিত ...

ঢাকা: রাজধানীর ভাটারায় তানিয়া বেগম (২৭) নামের এক নারীকে ২০১৯ সালে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ফয়সালকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সোমবার (৩১ মে) এ আদেশ দেন।

আবেদনের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ড. মো. বশির উল্লাহ।

২০১৯ সালে ২৫ মে রাজধানীর ভাটারার ছোলমাইদ বসুমতী এলাকার একটি বাসা থেকে তানিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তানিয়ার ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ২৬ মে ভাটারা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তানিয়া বেগম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফয়সালকে (২৫) গ্রেপ্তার করে তার একদিন পর আদালতে পাঠায় পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১০–১১ বছর আগে তানিয়ার সঙ্গে শাহ আলম নামের একজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। ওই কন্যার বয়স আট বছর। কিন্তু শাহ আলমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই বছর আগে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। কয়েক মাস আগে তানিয়া তার ভাইকের ফোন করে জানান, একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা চলছে। ২৫ মে তানিয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ফোন করে তার ভাইকে জানায়, তানিয়ার লাশ পাওয়া গেছে ভাটারা এলাকার একটি বাসায়।

এদিকে ফয়সালকে গ্রেফতারের পর ভাটারা থানা-পুলিশ জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ফয়সাল জানান, ২০১৯ সালের মার্চে তানিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। বিভিন্ন অজুহাতে তানিয়া তার কাছে টাকাপয়সা চাইতেন। একপর্যায়ে তানিয়া তাকে ভালোবাসেন বলে জানান। তিনিও তানিয়ার প্রতি দুর্বল হন। একসময় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভাটারা এলাকায় বাসা ভাড়া নেন তারা। সেখানে তিনি (ফয়সাল) মাঝেমধ্যে যেতেন। চলতি মাসের প্রথম দিকে তানিয়া তাকে জানান, তিনি (তানিয়া) অন্তঃসত্ত্বা। এরপর থেকে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

পরে ঘটনার দিন রাতে ফয়সাল ডান হাত দিয়ে তানিয়ার গলা চেপে ধরেন। বাম হাত দিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে তানিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তানিয়ার লাশ বিছানার চাদর ও তোশক দিয়ে মুড়ে ঘরে তালা মেরে বেরিয়ে যান তিনি। তানিয়ার মোবাইলফোন ও বাসার চাবি ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে দেন ফয়সাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২১
ইএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।