ঢাকা: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এমপিওভুক্ত ১৩০ শিক্ষকের দায়ের করা এক রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার (২ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরাসরি নিয়োগের আগে শূন্য পদের বিপরীতে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন না করার নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং একই সাথে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরাসরি নিয়োগের পূর্বে শূন্য পদের বিপরীতে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটকারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, এনটিআরসির চেয়ারম্যানসহ ছয় জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালার ১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক, কর্মচারীদের প্রয়োজনবোধে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি করতে পারবে। স্কুল ও কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় ভিন্ন ভিন্নভাবে এক ও অভিন্ন অনুচ্ছেদে এমপিওভুক্ত শিক্ষক, কর্মচারীদের প্রয়োজনবোধে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি করতে পারবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু বিগত ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৮, ও ২০২১ ইং সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা প্রণয়ন করলেও এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি তাই ১৩০ এমপিওভুক্ত শিক্ষক সংক্ষুদ্র হয়ে আদালতে এই রিট দাখিল করলে আদালত আজ এই রুল জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২১
ইএস/এমজেএফ