ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ: মেহেদীর জামিন বাতিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২১
চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ: মেহেদীর জামিন বাতিল

ঢাকা: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনের মামলার আসামি সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মেহেদী আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর মেহেদী আলমকে জামিন দেন হাইকোর্ট। ওই জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে একই বছরের ২ ডিসেম্বর চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করে দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হয়।

২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে এই ১০ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।  

অভিযুক্ত ১০ জন হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপক একেএম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আলোচিত এ মামলার ১০ আসামির মধ্যে বর্তমানে দু’জন আসামি (খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল ও মেহেদী আলম) কারাগারে আছেন। বাকিদের মধ্যে খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদসহ চারজন পলাতক ও চারজন জামিনে আছেন।

২০১৫ সালের ৬ জুন নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম তানভির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দু’টি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়।

চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

**বন্দরে কোকেন জব্দের মামলায় আরও দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২১
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।