ঢাকা: রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুরের হাইস্কুল রোডের একটি বাসা থেকে মধ্যবয়সী এক দম্পতি ও তাদের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহজাবিন মুনকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ জুন) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
৯৯৯ এ ফোন পেয়ে শনিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৪৫), তার স্ত্রী জোসনা ওরফে মৌসুমী (৪০) ও তাদের কন্যা সন্তান জান্নাত (১৮)। তিনজনকে হত্যা করে মেহজাবিন নিজেই ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে খুনের কথা অবহিত করেন। পরে মেহজাবিনকে গ্রেফতার করা হয়।
মেহজাবিন পুলিশকে জানান, পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড। পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল তার। বিশেষ করে বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তার সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল তার। এ বিষয়টি মা-বাবাকে বলার পরও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে।
গত ২০ জুন মেহজাবিন ইসলাম ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে তার চাচা সাখাওয়াত হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।
** কদমতলীতে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার: মুন আরেকটি হত্যার মামলার আসামি
** একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার: মেয়ে-জামাইয়ের নামে মামলা
** বাবা-মা-বোনকে খুন করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন, বাকিদের খুনের হুমকি
** একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ: ধারণা পারিবারিক কলহের জের
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
কেআই/ওএইচ/