ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মা-বাবা-বোনকে হত্যা: রিমান্ডে মেহজাবিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
মা-বাবা-বোনকে হত্যা: রিমান্ডে মেহজাবিন

ঢাকা: রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুরের হাইস্কুল রোডের একটি বাসা থেকে মধ্যবয়সী এক দম্পতি ও তাদের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহজাবিন মুনকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ জুন) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।

৯৯৯ এ ফোন পেয়ে শনিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৪৫), তার স্ত্রী জোসনা ওরফে মৌসুমী (৪০) ও তাদের কন্যা সন্তান জান্নাত (১৮)। তিনজনকে হত্যা করে মেহজাবিন নিজেই ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে খুনের কথা অবহিত করেন। পরে মেহজাবিনকে গ্রেফতার করা হয়।

মেহজাবিন পুলিশকে জানান, পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড। পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল তার। বিশেষ করে বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তার সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল তার। এ বিষয়টি মা-বাবাকে বলার পরও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে।

গত ২০ জুন মেহজাবিন ইসলাম ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে তার চাচা সাখাওয়াত হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।

** কদমতলীতে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার: মুন আরেকটি হত্যার মামলার আসামি
** একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার: মেয়ে-জামাইয়ের নামে মামলা
** বাবা-মা-বোনকে খুন করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন, বাকিদের খুনের হুমকি
** একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ: ধারণা পারিবারিক কলহের জের

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।