পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনার সালিশ বৈঠকে কিশোরীকে বিয়ে, তালাক দেওয়া এবং প্রেমিককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারসহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) সকালে প্রেমিক যুবক রমজান হাওলাদারের বড় ভাই হাফেজ আল ইমরান বাদী জামাল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা পিবিআই প্রধানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আল আমিন জানান, অভিযুক্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
প্রথমত তিনি নাবালিকা মেয়ে জেনেও জোরপূর্বক তাকে বিয়ে করেছেন এবং রমজান হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টা চালায়। এ ঘটনা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে তালাকনামা সৃষ্টি করেন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ তার ৫ সহযোগী এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মাওলানা মো. আইয়ুবকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতে কিশোরী কন্যা নাজমিন আক্তারের (১৩) জন্মসনদ এবং রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২১
এএটি