ঢাকা: ২০১৯ সালে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর ১০ বছর বয়সের কন্যাশিশুটি থাকে মায়ের কাছে।
রোববার (৪ জুলাই) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ পারিবারিক আদালতের আদেশ স্থগিত করে দেন।
একইসঙ্গে ১০ বছরের কন্যাকে মায়ের জিম্মায় রাখার আদেশ হাইকোর্ট বলেছেন, বাবা চাইলে সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুই জনেই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ২০০৭ সালে তারা ভালোবেসে বিয়ে করেন। ২০১১ সালে তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। কিন্তু ২ বছর আগে তাদের মধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। তখন সন্তান ছিলো মায়ের কাছে।
এরই মধ্যে মেয়েকে নিজ হেফাজতে নিতে পারিবারিক আদালতে আবেদন করেন বাবা। সেই আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার পারিবারিক আদালত। গত ১৬ জুন আদালত প্রথমে মায়ের জিম্মায় রাখার আদেশ দেন।
একদিন পর ওই আদেশ স্থগিত করে পারিবারিক আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ বলেন, আগামী ২১ দিন নাবালিকা পিতার হেফাজতে থাকবে। তার মধ্যে মায়ের হেফাজতে থাকবে শুক্রবার ও শনিবার। বাবা সন্তানের অনলাইনে স্কুলের ক্লাসের ব্যবস্থা করবেন। বাদী ও বিবাদীর এবং তাদের বাবা-মা বাসার পরিবেশ দেখা, কার বাসায় কে থাকেন এবং ওই বিষয়ে সার্বিক প্রতিবদনের জন্য ২১ দিনের মধ্যে হাজারীবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মেয়েটির মা। শুনানি শেষে হাইকোর্ট পারিবারিক আদালতের আদেশ ৩০ দিনের জন্য বা নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত স্থগিত করে দেন। একইসঙ্গে নিয়মিত খোলার পর বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য উপস্থাপন করতে আইনজীবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২১
ইএস/এএটি