ঢাকা: চলমান বিধি-নিষেধ অমান্যের অভিযোগে আটকদের প্রিজনভ্যানে করে নিম্ন আদালতের গারদে নিয়ে গাদাগাদি করে রাখার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে এনেছেন এক আইনজীবী।
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিষয়টি দেখতে বলেছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ। আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, তিনি পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানাবেন।
লকডাউনে গ্রেফতার ব্যক্তিদের কোর্ট হাজতে না নিয়ে থানায় রেখে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করার জন্য আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জোবায়দুর রহমান, আল রেজা মো. আমির এবং মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন।
আদালতে মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, লকডাউনে প্রতিদিন শত শত মানুষ গ্রেফতার হচ্ছে। গত ছয়দিনে এর সংখ্যা ৩০৬৫ জন। গ্রেফতারদের প্রতিদিন প্রিজনভ্যানে গাদাগাদি করে একসঙ্গে কোর্ট হাজতে নেওয়া হয়। সেখানে শত শত মানুষ একসঙ্গে গারদের মধ্যে অবস্থান করে। পরস্পরের শরীরের সঙ্গে শরীর এবং নিশ্বাসের সঙ্গে নিশ্বাস মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। বাইরে আত্মীয়-স্বজনরাও ভিড় করেন। ফলে সেখানে আশংকাজনকভাবে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
এসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, পুলিশের বাধ্যবাধকতা আছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নেওয়ার। তখন আসাদ উদ্দিন বলেন, ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে সেটি সম্ভব।
পরে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে কী করা যায় তা জানতে চান। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তিনি পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানাবেন।
পরবর্তীসময়ে আসাদ উদ্দিন আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৪ ধারাটি উল্লেখ করে বলেন, এ ধারার বিধান অনুযায়ী ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিই গ্রেফতার ব্যক্তিকে আদালতে উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা পূরণে যথেষ্ট। তখন আদালত বলেন, সরকারতো ভালো বুঝেই আইন করেছে। কিন্তু এর বাস্তবায়নে যে জনশক্তি ও লজিস্টিক সাপোর্ট লাগবে তা তো সহসাই ব্যবস্থা করা কঠিন। আপনি অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলাপ করেন, চিন্তার শেয়ার করেন দেখেন কী করা যায়। অবশ্যই বিষয়টির গুরুত্ব আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২১
ইএস/এএ