ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্ত্রী হত্যায় কুষ্টিয়ার স্বপনের মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
স্ত্রী হত্যায় কুষ্টিয়ার স্বপনের মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

ঢাকা: ২০০৬ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়ার স্বপন কুমার বিশ্বাসকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।  

মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তার করা জেল আপিল খারিজ করে সোমবার (১২ জুলাই) রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চ।

একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া তাকে কনডেম সেল থেকে নরমাল সেলে স্থানান্তর করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   

২০০৬ সালের ১৭ অক্টোবর স্বপনের বাড়িওয়ালার স্ত্রীর দেওয়া অভিযোগ মতে, নীলফামারীর সৈয়দপুরের নয়াটোলায় মোফাজ্জলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন স্বপন কুমার বিশ্বাস। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার চড়াইকোলের নন্দলালপুরে। বাবার নাম শংকর কুমার বিশ্বাস।  

২০০৫ সালের দিকে সৈয়দপুরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার দীনবন্ধুর মেয়ে আলপনা রায়কে বিয়ে করে নয়াটোলায় ভাড়ায় থাকতেন স্বপন। চাকরি করতেন নীলফামারীতে একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে। ২০০৬ সালের ১৬ অক্টোবর রাজবাড়ীর পাংশা থানার পুরাতন পাংশা বাজারের সুকুমার ঘোষের মেয়ে স্বপ্না রানী ঘোষ সৈয়দপুরের স্বপনের ভাড়াবাড়িতে যান। জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে স্বপনের প্রথম স্ত্রী বলে জানান স্বপ্না। এ কথা জানার পর দ্বিতীয় স্ত্রী দুপুরে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। রাতে প্রথম স্ত্রী স্বপ্নার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয় স্বপনের। ভোর ৫টায় স্বপনের চিৎকারে গিয়ে দেখি স্বপ্না ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন- অভিযোগে উল্লেখ করেন বাড়িওয়ালার স্ত্রী।

প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও পরে পুলিশ হত্যার অভিযোগ আনে এবং ২৮ নভেম্বর স্বপনকে গ্রেফতার করে। কারণ স্বপ্নার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ।   

এ মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর বিচারিক আদালত স্বপনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর এ মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন স্বপন। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। এরপর জেল আপিল করেন স্বপন।

এর মধ্যে অর্থের অভাবে মামলা চালাতে পারছেন না উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের কাছে জেল থেকে চিঠি লেখেন স্বপন। পরে স্বপনের সে আবেদনে সাড়া দিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বিনা পয়সায় এ মামলাটি পরিচালনা করেছেন।  

গত ৮ জুলাই এ জেল আপিলের ওপর ছয় বিচারপতির ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চে শুনানি সম্পন্ন হয়। এ আপিলের ওপর রায়ের জন্য ১২ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।    

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হাসিনা আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২,২০২১
ইএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।