ঢাকা: মামলা থাকায় জামিনের শর্ত অনুসারে বিদেশ যেতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শামসুল আলম ও তার ছেলে মিজানুর রহমান নিম্ন আদালত থেকে অনুমতি নেন। কিন্তু মামলার বাদীপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে নিম্ন আদালতের আদেশ স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
কিন্তু সোমবার (১২ জুলাই) সেই আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগের ভার্চ্যুয়াল চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন চেম্বার জজ। ফলে বহাল রইলো হাইকোর্টের আদেশ। এ কারণে তারা বিদেশ যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে শামসুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। মামলার বাদী পক্ষ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের আবেদনে গত ৬ জুলাই আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টে ব্যাংকটির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী আক্কাস চৌধুরী।
ওইদিন আলী আক্কাস চৌধুরী জানিয়েছিলেন,ব্যাংকটির চট্টগ্রামের কদমতলী শাখা শামসু স’ মিলের মালিক শামসুল আলমের কাছে ঋণ বাবদ ৬৩ কোটি টাকার মতো পাওনা আছে। আর এই ঋণের জামিনদার তার ছেলে মিজানুর রহমান। যে সম্পত্তির অনুকূলে ঋণ দেওয়া হয়েছে সেই সম্পত্তি শামসুল আলম তার ছেলের নামে হেবা করে দিয়েছেন। এমনকী তারা বিদেশ চলে যাবেন বলে শোনা যায়। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের নামে একটি মামলা করে।
ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পায় তারা। এ জামিনের শর্ত ছিল পাসপোর্ট জমা রাখা এবং বিদেশে যেতে আদালতের অনুমতি নেওয়া। গত ২৯ জুন তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে চট্টগ্রামের মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ বিদেশ যেতে অনুমতি দেন। এ আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ৬ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের আদেশ স্থগিত করেন। এছাড়া আদেশ প্রাপ্তির দু’দিনের মধ্যে আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে (যদি ইতোমধ্যে আদালত থেকে ফেরত নেন) নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি তাদের অনুমতি না দিতে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এয়ারপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন) ডিআইজিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন শামসুল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
ইএস/কেএআর