ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মা ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় বাবা মোহন্দ্র চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বড় মেয়ে ঝুমা রাণী দাস।
রোববার (২৫ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝুমা রানীকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
এ মামলার একমাত্র আসামি মোহন্দ্র চন্দ্র অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে আদালতকে অবহিত করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত ২৩ জুলাই রাতে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস (৩৪) ও তার ১১ বছরের মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। এ সময় তিনি নিজেও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
ঘটনার সময় ফুলবাসীর আরেক মেয়ে ঝুমা রানী দাস (১৪) ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়, তার বাবা সুমীর মুখে পলিথিন চেপে ধরেছেন। শনিবার সকালে ওই বাসা থেকে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন রাতে মামলা দায়ের করেন ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
কেআই/ওএইচ/