ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি মোহন্দ্র চন্দ্র দাস।
সোমবার (২৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
অসুস্থ মোহন্দ্রকে চিকিৎসা শেষে সোমবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার (২৫ জুলাই) মোহন্দ্র চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে তার বড় মেয়ে ঝুমা রানী দাস আদালতে সাক্ষী হিসেবে মোহন্দ্রের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন।
জানা যায়, গত ২৩ জুলাই রাতে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস (৩৪) ও তার ১১ বছরের মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। এ সময় তিনি নিজেও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
ঘটনার সময় ফুলবাসীর আরেক মেয়ে ঝুমা রানী দাস (১৪) ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে দেখতে পায় তার বাবা সুমীর মুখে পলিথিন চেপে ধরেছেন। গত ২৪ জুলাই সকালে ওই বাসা থেকে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন রাতে মামলা দায়ের করেন ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
কেআই/আরবি