ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অধস্তন আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়া সব কাজ চলবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২১
অধস্তন আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়া সব কাজ চলবে

ঢাকা: আগামী রোববার (৮ আগস্ট) থেকে অধস্তন আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ ব্যতীত সব ধরনের কার্যক্রম চলবে। যার আংশিক শারীরিক উপস্থিতিতে ও আংশিক হবে ভার্চ্যুয়ালি।

শুক্রবার (০৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৮ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে বিচারকাজ চলবে।  

সার্কুলারে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ফুল কোর্ট সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ৮ আগস্ট হতে ১২ আগস্ট পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি ব্যতীত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে ‘‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০’’ এবং এ কর্তৃক জারিকৃত এতদ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে সব ধরনের দেওয়ানি ও ফৌজদারি দরখাস্ত/আপিল/বিবিধ মামলাসহ সব ধরনের শুনানি গ্রহণ (সাক্ষ্য ব্যতীত) ও নিষ্পত্তি হবে।

এছাড়া শারীরিক উপস্থিতিতে যেসব কাজ হবে, সে সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি আদালতে সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণ বিষয়ক মামলা দায়ের, শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে ফৌজদারি আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোতে নালিশি মামলা দায়ের করা যাবে। ’

‘ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিগণ অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণের আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে, যাতে আদালত প্রাঙ্গণে ও আদালত ভবনে কোনো জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ব্যতীত অন্য কোনো আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করবেন না। একটি আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এজলাস কক্ষ ত্যাগ করার পর বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন। ’

‘অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে এবং আমলি আদালতের হাজিরার জন্য হাজতি আসামিদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ দেওয়া হলো। হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক পাঠিয়ে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভার্চ্যুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন। ’

‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন। ’

সবশেষ ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালতের প্রায় সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২১
কেআই/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।