ঢাকা: একটি অডিও ফাঁস নিয়ে আলোচনায় থাকা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার মুকুলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ‘অধ্যক্ষের অসাদাচরণ ও দুর্নীতির’ বিষয়ে তদন্ত নিয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এ রিট করেন।
সোমবার (০৯ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া।
আবেদনে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের ‘অসাদাচরণ ও দুর্নীতির’ বিষয়ে তদন্ত করতে বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম চালু না করায় বিবাদীদের ব্যর্থতা এবং নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম শুরু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
আবেদনে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২৭ জুলাই প্রকাশিত ‘আমি গুলি করা মানুষ পিস্তল বালিশের নিচে থাকত’ শীর্ষক সংবাদে বলা হয়, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর শাহাবুদ্দিন টিপুর একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এতে অধ্যক্ষ ওই অভিভাবককে বলেন, ‘আমি কিন্তু গুলি করা মানুষ। রিভলবার নিয়া ব্যাগের মধ্যে হাঁটা মানুষ। আমার পিস্তল বালিশের নিচে থাকত। কোনো ... বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব, আমি শুধু ভিকারুননিসা না আমি দেশছাড়া করব। ’ ফোনালাপের অডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া দৈনিক শিক্ষা নামের একটি অনলাইনে ‘ভিকারুননিসা ক্যাম্পাসে গরুর হাট, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এসব বিষয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ২৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও শিক্ষা সচিব বরাবরে চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তদন্তের স্বার্থে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্তের আবেদন জানান।
কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বলে জানান আইনজীবী মো.আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে, শিক্ষা সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচলক, অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার মুকুল এবং গভর্নিং বডির সভাপতিকে।
সংশ্লিষ্ট নিউজ: ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস, দাবি ষড়যন্ত্র
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২১
ইএস/এমজেএফ