ঢাকা: গত ৫ আগস্ট রিমান্ডে আসার দিন যেই প্যান্ট ও শার্ট পরে আদালতে এসেছিলেন, মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) একই কাপড় পরে আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এ প্রসঙ্গটি আদালতেও তোলেন তার একজন আইনজীবী।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিকালে একজন জুনিয়র আইনজীবী বলেন, পাঁচ দিন আগে যে কাপড়ে পরীমনি ছিলেন, আজও সেই এক কাপড়ে আছেন৷ তাকে আর কোনো কাপড়ও দেওয়া হয়নি।
তখন তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নারী পুলিশ সদস্যরা এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। তারা বলেন, পরীমনি রিমান্ড থেকে ফেরত যাওয়া-আসার সময় অন্য কাপড় পরেছিলেন। এজলাসে আসার আগে কোর্ট হাজত থেকে তিনি এ কাপড় পরে আসেন।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির পর পরীমনির পক্ষে আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান বলেন, বোফর্স ম্যাগাজিনে শত শত চিত্রনায়িকার ছবি ও জীবনী ছাপা হয়েছে, সেখানে পরীমনির নাম আছে। তাকে রিমান্ডে পাঠিয়ে দেশের বিভিন্ন পারপাজ সার্ভ করতে হবে, এমনটি কী হওয়া উচিত ও যৌক্তিক?
তিনি বলেন, ঢাকার নবাব বাড়িতে আগে বাইজি রাখা হতো, সেখানে মানুষজনকে সুস্থ বিনোদন তারা দিতেন। যদি ইতিহাসে যাই তাহলে দেখা যায় সেসব বাইজিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হতো না। সেখানে বাইজি নায়িকা ললিতা রায় সিনেমা করেছিলেন ‘দ্য লাস্ট কিস’। সেখানে দৃশ্যে দৃশ্যে মদ ছিল, সেখানে তো মামলা হয়নি। তাদের মানুষ ভালোবেসেছে।
মাদকের বিষয়ে মজিবুর রহমান বলেন, মামলার কোনো কাগজে পরীমনি মাদক ব্যবসায়ী এ কথা বলা হয়নি। আদালতের কাছে মিথ্যা কথা বলব না। যদি উনি মাদক সেবন করেই থাকেন ও মাদকের আইটেম যদি তার ঘরে পাওয়াও যায়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হোক, রিমান্ড কেন?
পরীমনি অসুস্থ দাবি করে তার আইনজীবী বলেন, আপনি জানেন অসুস্থ ব্যক্তি নারী-শিশুরা জামিন ও রিমান্ডের ব্যাপারে অনেক সুযোগ পেয়ে থাকেন। পরীমনি তো কোনো ক্যাডার নন। আমরা মামলার কোনো রিমান্ড আবেদন দেখতেই পারিনি। পুলিশ ও রাষ্ট্রপক্ষ নথির কাছেই যেতে দেয়নি।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু ও সাজ্জাদুল হক শিহাব বলেন, আমাদের কাছে তো ফরোয়ার্ডিং ছিল, দেখলেন না কেন?
শুনানি শেষে বিচারক পরীমনির দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২১
কেআই/আরবি