ঢাকা: লকডাউন শেষে পুরোপুরি সচল হয়ে ওঠেনি রাজধানীর নিম্ন আদালত। সবধরনের মামলার কাজ এখনো শুরু হয়নি৷ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, সবধরনের হাজিরা, দেওয়ানী মামলার ফাইলিং ও বিচার কার্যক্রম বন্ধ আছে৷
তবে রোববার থেকে ভার্চ্যুয়ালি সবধরনের জামিন শুনানি, আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিন আবেদন, ফৌজদারি মামলার ফাইলিং, সাকসেশন ও গার্ডিয়ানশিপ নির্ধারণী মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আগামী ১৬ আগস্ট থেকে সবধরনের মামলার কাজ শুরু হতে পারে। তবুও চলমান মামলাগুলো সচল হয়ে আদালত পুরোপুরি কর্মমুখর হতে আরও অন্তত এক-দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।
বুধবার (১১ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কিছুটা উপস্থিতি রয়েছে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের। এছাড়া মহানগর দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতেও বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের কিছুটা উপস্থিতি রয়েছে।
তবে বিশেষ জজ আদালত, সবধরনের ট্রাইব্যুনাল ও দেওয়ানী আদালতগুলোতে এখনো ছুটির রেশ কাটেনি।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম মাসুম বলেন, যেহেতু হাজিরা ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি তাই এখনো বড়ধরনের উপস্থিতি হয়নি। চলমান মামলার কাজ শুরু হওয়ার পরও স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন লাগবে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য হোসনী মোবারক রকি বলেন, যেসব আইনজীবী ট্রায়াল (সাক্ষ্য-জেরা) মামলা এবং দেওয়ানী মামলা করেন তারা এখনো অলস সময় পার করছেন। অনেকে মহামারির কারণে আদালতে আসছেন না। সবমিলিয়ে নতুন করে ছুটি না হলে আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের সধ্যে আদালত স্বাভাবিক হবে।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, আমাদের ট্রাইব্যুনালে শুধু ভার্চ্যুয়াল জামিন শুনানি হচ্ছে৷ তাই এখানে সংশ্লিষ্টরা বলা যায় অলস সময়ই পার করছেন।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, আমাদের আদালতে জামিন শুনানিসহ জরুরি দরখাস্ত শুনানি হচ্ছে। সবধরনের বিচারকাজ শুরু না হলেও মোটামুটি ব্যস্তই কাটছে এই আদালতের বিচারক ও স্টাফদের সময়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
কেআই/আরএ