জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে পুলিশকে জখম করে অস্ত্র লুট ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন জেএমবির ১৩ শীর্ষ জঙ্গি নেতা। জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামে ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে জঙ্গি-পুলিশ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
জামিন নিয়ে পলাতক জঙ্গিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার আনোয়ার হোসেন ওরফে খোকা, তারিকুল ইসলাম ওরফে ভাগ্নে শহীদ, রংপুরের জয়নাল আবেদীন, গাইবান্ধার মামুনুর রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছরোয়ার জাহান, শহিদুল ইসলাম ও তুফান ওরফে আবুল কাশেম, রাজশাহীর শহীদুল্লাহ ফারুক ও আদনান ছামি ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, নওগাঁর সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল কুদ্দুস, বগুড়ার আরিফুর রহমান ওরফে আসাদুল্লাহ এবং নারায়ণগঞ্জের সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীন।
এ মামলার আট আসামি জয়পুরহাট কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন ৩৮ জন। মামলার ৬১ জন আসামির মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র থেকে এক জনকে অব্যাহতি দেন। এক আসামি মারা গেছেন। এ মামলায় এখন আসামি ৫৯ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামের জেএমবি (জঙ্গি) নেতারা মন্তেজার রহমানের বাড়িতে গোপন বৈঠকে বসে। খবর পেয়ে ওই রাতে বাড়িটি ঘেরাও করে জয়পুরহাট সদর ও ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। সে সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। জঙ্গিদের হামলায় পাঁচ পুলিশ আহত হন। পুলিশের তিনটি শর্টগান, ম্যাগজিন, ওয়াকিটকি, গুলি লুট হয়। এ ঘটনায় সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় ৩৩ জন এবং ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হেনা কবীর বাংলানিউজকে বলেন, মামলা তিনটি জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, আসামিরা একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়ায় দেশের বিভিন্ন কারাগারে রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া আইনি জটিলতার কারণে মামলাটি বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২১
এসআরএস