ঢাকা: সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে মাঈনুল ইসলাম নামে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (১৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
একই আদালত ফিরোজ ওরফে শাহরুখ ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া অপর চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন—আ. কুদ্দুস, বিল্লাল হোসেন, তৌকির আহমেদ এবং কফিল উদ্দিন চৌধুরী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক সুহৃদ দে ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করে ভিন্ন ভিন্ন আবেদন করলে আদালত এই আদেশ দেন।
শনিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
জানা যায়, আসামিরা এক চাকরিপ্রত্যাশী যুবকের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে বলে, তাকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমিউনিটি কেন্দ্রের জেলা গ্রোগ্রাম অফিসার হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়োগের জন্য একটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের নম্বর দিয়ে তাতে ১৯৪০ টাকা পাঠাতে বলা হয় ওই চাকরি প্রত্যাশীকে। প্রথম মাসের বেতনের সঙ্গে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথাও বলা হয়। টাকা পাঠানোর পর ওই চক্রটি একটি রশিদ এবং নিয়োগের নামে একটি ফরম ই-মেইল করে। ভুক্তভোগী ওই যুবক তাদের কথামত ফরম পূরণ করে ই-মেইলে পাঠায়।
৩০ জুন ডিজিটাল আইডি কার্ড এবং নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও চক্রটি তার বদলে ‘বিনামূল্যে’ ল্যাপটপ এবং মেডিকেল ইকুইপম্যান্ট দেওয়ার কথা বলে ‘ভ্যাট বাবদ’ আরও ৪০৮০ টাকা চায়।
তখন ওই যুবক বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন। তিনি ফোন করলে ওই চক্র অকথ্য ভাষায় তাকে গালাগাল করে।
পিবিআই জানায়, ‘প্রতারক এই চক্রটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমিউনিটি কেন্দ্র, সুখী পরিবার, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, অ্যাপোলো কনজিউমার প্রডাক্টসহ বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানে লোভনীয় বেতনে চাকুরির ভুয়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসছিল এবং চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। ’
প্রতারণার ঘটনায় ফজলুল করিম মোহাম্মদপুর থানায় প্রতারণাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
কেআই/এমজেএফ