ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

আইন ও আদালত

টিকটক-লাইকি বন্ধে কেন নির্দেশ নয়, হাইকোর্টের রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
টিকটক-লাইকি বন্ধে কেন নির্দেশ নয়, হাইকোর্টের রুল

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকা পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকারক সব গেম তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রুলে দেশের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ার ও এ ধরনের অনলাইন গেম এবং টিকটক, বিগো লাইভ, লাইকি ও একই ধরনের অ্যাপসের লিংক বা ইন্টারনেট গেটওয়ে নিষিদ্ধ, বন্ধ ও অপসারণ করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; ক্ষতিকর খেলা ও অ্যাপস বিষয়ে তদারকির জন্য কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন একটি কমিটি গঠন ও একটি গাইডলাইন তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর সোমবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

১০ দিনের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির।

এর আগে ২৪ জুন মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ রিট করা হয়।

রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টরা।  

হুমায়ন কবিরের মতে, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমগুলোতে দেশের যুব সমাজ ও শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেম যেন যুব সমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণ দেওয়ার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।

অন্যদিকে টিকটক, লাইকি অ্যাপগুলো ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে এবং সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে। টিকটক অনুসারীরা বিভিন্ন গোপনীয় জায়গায় পুল পার্টির নামে অনৈতিক বিনোদন ও যৌন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থ পাচারও টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের মাধ্যমে চলছে। যেটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশ ও জনস্বার্থ পরিপন্থী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, মূল্যবোধ পরিপন্থী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।