ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৪ এসআইসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৪ এসআইসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা: ভুয়া ভাউচারে কথিত জিপিএফসহ বিভিন্ন বিলের নামে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাগুরা পুলিশের চার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও আট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৬ আগস্ট) যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

মামলার আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার এসআই হাসিনা খাতুন, এসআই সবুর আলম খান, যশোর পুলিশ লাইনের এসআই মাহাবুব আলম, মাগুরা পুলিশ লাইনের অবসরপ্রাপ্ত এসআই সাইফুর ইসলাম ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত টিএসআই খান আব্দুল হাই, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আতিয়ার রহমান ও শাহ আলম গাজী, মাগুড়া জেলা পুলিশ লাইনের হিসাবরক্ষক শরিফুজ্জামান, মাগুরা জেলা হিসাব রক্ষণ ও ফিন্যান্স কর্মকর্তা জিএম জিল্লুর রহমান, ফিন্যান্স কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও সরকার রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের অডিটর আজমল হোসেন, আব্দুল লতিফ মিঞা, রথিন বিশ্বাস, ফজলুর শহিদ ও শেখ আব্দুস সালাম, মাগুরা জেলা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল গাজী মশিউর রহমান, ফিরোজ হোসেন, শিপন মৃধা, তাসলিমা খাতুন, হালিমা, অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, আকবর আলী ও আবুল কাশেম এবং নড়াইলের বাসিন্দা আজমল মুন্সি ও মাগুরা বাসিন্দা রোকাইয়া ইয়াসমিন বিচিত্রা এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার ওয়াজেদ আলীকে আসামি করা হয়েছে।  

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে কথিত জিপিএফ, ল্যাম্প গ্র্যান্ট, ডিপোজিট এগেইন্সট সাপ্লাইজ অ্যান্ড ওয়ার্ক নামে বিল মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে না পাঠানো হলেও ৯ জনের নামে ৮১টি অ্যাকাউন্ট পেয়ী চেক ইস্যু করার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

পরস্পরের যোগসাজশে একই পদ্ধতিতে অস্তিত্ববিহীন ছয়টি বিলের মাধ্যমে জেলা পুলিশ মাগুরার ৬ জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আতিয়ার রহমান, শাহ আলম গাজী, খান আব্দুল হাই, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, আকবর আলী এবং আবুল কাশেম তাদের জিপিএফ’র প্রাপ্য অর্থের অতিরিক্ত ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। এভাবে মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ এক হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
এসএমএকে/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।