ঢাকা: টাগবোট না পেয়েই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ- এমন ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বিষয়টি অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে যুক্ত ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো সাইফুর রহমান।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বৃহস্পতিবার দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ‘টাগবোট না পেয়েই ২৩ কোটি টাকা বিল পরিশোধ' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ হাইকোর্টের নজরে এলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদককে অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দুদককে সহযোগিতা করতে বলেছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ অক্টোবর কার্যতালিকায় আসবে।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, 'চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ টাগবোট (সাহায্যকারী জলযান) কিনতে ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় চুক্তি করেছিল একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে টাগবোটটি বন্দর কর্তৃপক্ষকে সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও তা সরবরাহ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। এমন পরিস্থিতিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কিন্তু ওই নির্দেশনা পালন না করে উল্টো টাগবোটের দেখা না পেলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে চার ধাপে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটিকে ২৩ কোটি ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ টাকা বিল দিয়েছে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
ইএস/এসআই