কক্সবাজার: কক্সবাজার টেকনাফের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কে চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে ১৫ জন আসামিকে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই তিন দিন আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করলেও লকডাউনের কারণে তা হয়নি। আজ থেকে টানা তিন দিন ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা রয়েছে। মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসও আদালতে হাজির হয়েছেন। সকাল ১০টার দিকে মামলার বাদী ও এক নম্বর সাক্ষী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের জবানবন্দি রেকর্ডের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত মোট ৮৩ জন সাক্ষী আছেন। তাদের মধ্য থেকে ১৫ জনকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির হতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও জেরার জন্য সময় প্রার্থনা করে প্রদীপের আইনজীবী আবেদন করলে আদালত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সাক্ষীদের জেরার জন্য সময় নির্ধারণ করেন।
গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বাদী-বিবাদী উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জনকে আসামি করে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তভার দেওয়া হয় র্যাবকে।
চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এ মামলায় এজাহারভুক্ত নয়জনসহ মোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। এখন ১৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩,২০২১
এসবি/এএটি