ঢাকা: কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলামকে ঘুষ নেওয়ার মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৪ জানুয়ারি এ রায় দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। একইসঙ্গে মামলাটির বিচার কাজ এক বছরের মধ্যে অথবা দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭২ পৃষ্ঠার দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণ আদালত বলেছেন, দুর্নীতি করে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অনেক সরকারি দপ্তরের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। কিন্তু সেসব মামলার অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে দুদক ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি এসব ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক ব্যাখ্যাও দেওয়া হচ্ছে না।
আদালত বলেছেন, প্রশ্ন ওঠে, কমিশন কি আইনের ঊর্ধ্বে? নিশ্চিতভাবে এর উত্তর হচ্ছে ‘না’।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪ ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধি, ২০০৭- এ কমিশনের কার্যক্রম বিশদভাবে বর্ণনা করা আছে। ফলে দেশের দুর্নীতি চর্চা বন্ধ করতে আইনগত অবস্থান থেকে কমিশনের উচিত আরও কঠোর হওয়া।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেন, আজকাল আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, বড় বড় দুর্নীতির মামলার আইনি প্রক্রিয়া তরান্বিত করার চেয়ে কমিশন আত্মসাত করা টাকা পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত। টাকা উদ্ধার কমিশনের কাজ না, আইনেও সে ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। ফলে অভিযুক্তরা নিজেদের রক্ষায় সুবিধা পাচ্ছে বা সুবিধা নিচ্ছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, কমিশন আইন একটি বিশেষ বিধান হলেও মামলা দায়েরের পর অনেক সময় অতিবাহিত হলেও বহু মামলায় দুদক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র বা অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি, যা স্পষ্টত আইনের লঙ্ঘন। এমনকি এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান বা তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
ইএস/এসআরএস