ঢাকা: ঢাকা: বাংলাদেশি সানিউর টি আই এম নবী ও ভারতীয় নারী সাদিকা সাদিকা শেখকে দুই মাসের জন্য মায়ের কাছে রাখার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর মেয়েটির মা থাকবে মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) ব্যবস্থাপনায়।
তবে সপ্তাহে তিন দিন বাবা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিশুকে নিজের কাছে নিয়ে যেতে পারবেন। একইসঙ্গে শিশুটির মায়ের পাসপোর্ট গুলশান থানায় জমা দিতে বলেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে শিশুটির বাবা ব্যবসায়ী নবীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসদু রেজা সোবহান। সাদিকার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
২০১৭ সালে বাংলাদেশি সানিউর টি আই এম নবী বিয়ে করেছিলেন ভারতীয় নারী শেখকে। এর মধ্যে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিলে বিষয়টি ভারতে থাকা নিজের পরিবারকে জানান সাদিকা। পরে পরিবার হাইকমিশনে যোগাযোগ করে কোনো আশানরূপ ফল না পেয়ে একটি আইনি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হন। পরে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন।
হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার মাসহ শিশুটিকে হাজির করতে নির্দেশ দেন।
পরে আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ জানান, ২০১৭ সালে হায়দরাবাদের সাদিকা শেখ নামে এক নারীকে বিয়ে করেন বারিধারার সানিউর টি আই এম নবী। বিয়ের পর তারা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবাস শুরু করেন। কয়েক মাস পর তারা ঢাকায় ফিরে আসেন।
এরইমধ্যে ওই দম্পতির এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু করোনাকালে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়। এমনকি ভারতের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাদিকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিষয়টি ভারতে মেয়েটির আত্মীয়-স্বজনরা জানতে পারেন। এরপর ওই দেশ থেকে তাদের পরিবারের পক্ষে প্রথমে ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হয়। তারপরও বিষয়টি সমাধান হয়নি। পরে মেয়েটির বোন মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) কাছে আইনি সহায়তা চান। এর মধ্যে সাদিকাকে ডিভোর্স দেয় নবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২১
ইএস/আরবি