ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

‘সমকামীদের সমাজে প্রতিষ্ঠার দায়ে জুলহাজ-তনয়কে হত্যা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২১
‘সমকামীদের সমাজে প্রতিষ্ঠার দায়ে জুলহাজ-তনয়কে হত্যা’ আদালতে আসামিদের আনা হয়। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ‘সমকামীদের নিয়ে র‌্যালি করাসহ সমকামীদের সমাজে প্রতিষ্ঠার দায়ে ভিকটিম জুলহাজ মান্নান ও খন্দকার মাহবুব রাব্বী তন্ময় ওরফে তনয়কে হত্যা করা হয়’।

এই হত্যাকাণ্ডে আদালতের দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট)  এ বক্তব্য উঠে আসে।

মামলার আট আসামির ছয়জনকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ে বলা হয়েছে, সাক্ষ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় আসামিরা সব নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য এবং সমকামীদের নিয়ে র‌্যালি করাসহ সমকামীদের সমাজে প্রতিষ্ঠার দায়ে ভিকটিম জুলহাজ মান্নান ও খন্দকার মাহবুব রাব্বী তন্ময় ওরফে তনয়কে তারা হত্যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মূল হত্যাকারীসহ এ মামলার অভিযুক্ত আসামিদের অভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করার মাধ্যমে মতামত প্রকাশ ও স্বাধীন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করার জন্য জুলহাজ ও তনয়কে হত্যা করা হয়।  

হত্যায় অংশগ্রহণকারী অভিযুক্ত আসামিরা বেঁচে থাকলে আনসার আল ইসলামের বিচারের বাহিরে থাকা সদস্যরা একই অপরাধ করতে উৎসাহিত হবে। কাজেই এই আসামিরা কোনো সহানুভূতি পেতে পারে না। তাই ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। এতে একদিকে নিহতের আত্মীয়রা শান্তি পাবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করতে ভয় পাবে এবং নিরুৎসাহিত হবে।

রাজধানীর কলাবাগানে সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।  
এছাড়া পলাতক সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও জুনাইদ আহমদ ওরফে মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদকে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ কারাগারে আছেন।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে প্রবেশ করে ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২১
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।