ঢাকা: রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে এ সাজা চান সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ)।
এরপর আসামি নাইম আশরাফের পক্ষে তার আইনজীবী এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম (লিটন) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আদালত আগামী ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
জানা গেছে, এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে সাফাতসহ পাঁচ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
মামলার অপর চার আসামি হলেন—সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। পাঁচ আসামিই জামিনে আছেন।
গত ২২ আগস্ট মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
গত ২০১৮ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। অপর আসামি সাদমান সাকিফ, রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।
একই বছর ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
গত ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
কেআই/এমজেএফ