ঢাকা: রাজধানীর ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং তার বাবুর্চি ইমাম হোসেনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক (নি.) কাজী ওয়াজেদ মিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার এ দুই আসামির সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করাসহ ব্যক্তি সত্তা বা প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনসহ শেখ হাসিনা সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করার উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। আসামিরা কীভাবে এমন কাজে নিয়োজিত হয়েছিল এবং আর কে কে এ কাজে জড়িত, তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
আসামিরা দেশের জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করাসহ বর্তমান সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার বিষয়ে আর কবে, কয়দিন এবং কোথায় কোথায় ও কীভাবে গোপন ষড়যন্ত্র ও শলাপরামর্শ করেছে, মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিপক্ষে আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
বুধবার রাত ১টার দিকে সাদা পোশাকে সাত-আটজনের একটি দল ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার।
আ ন ম শামসুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি। এ মামলায় গত ৭ সেপ্টেম্বর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ নয়জনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাটারা এলাকা থেকে গোলাম পরওয়ারসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য, রাজধানীর ভাটারা এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে তারা মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এ ঘটনায় ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
কেআই/জেএইচটি