ঢাকা: ২০১৩ সালে ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানের নামে করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (বর্তমানে সিআইডির পরিদর্শক) আশরাফুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের ওই সমাবেশে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ মে সকালে পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন মারা যান। অথচ অধিকারের ওয়েবসাইটে একই বছরের ১০ জুন ৬১ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবদনে বিভিন্ন সময়ে নাশকতার পুরনো কিছু ছবিও যুক্ত করা হয়। ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উস্কানি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ২০০৬ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(১)(২) ধারার অপরাধের উপাদান পাওয়া যায়।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভুঁইয়া তাকে জেরা করেন।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরে সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয় বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। এ ঘটনায় একই বছর ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম।
একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরদিন ৫ ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠান।
এরপর ১১ সেপ্টেম্বর ‘অধিকার’ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। সেই মামলায় আদিলুরকে গ্রেফতার দেখানোর পাশাপাশি পলাতক আসামি নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরবর্তীতে অবশ্য আদিলুর রহমান খান ও নাসিরুদ্দিন এলান দুজনই জামিনে মুক্তি পান। সেই মামলায় দীর্ঘ আট বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।
বালাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
কেআই/এমজেএফ