ঢাকা: রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের ‘বালিশকাণ্ড’ মামলায় পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৮ প্রকৌশলীর জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
জামিন বাতিলে দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি জাহিদ সরওয়ারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
রুল জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশ-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক পাবনায় চারটি মামলা দায়ের করেন। দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে পাবনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ সব মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করতে গণপূর্ত অধিদফতরের কতিপয় প্রকৌশলী রূপপুর গ্রিন সিটির ২০ তলা ফাউন্ডেশনের ৬ ইউনিটবিশিষ্ট এক নম্বর ভবনের কিছু সিভিল এবং ই/এম ওয়ার্কসহ আইটেম কেনাকাটায় বাজারমূল্য থেকে অনেক বেশি মূল্য দেখানো হয়। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ, তলাভিত্তিক উত্তোলন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি যোগ করে প্রাক্কলন তৈরি করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান ও মোস্তফা কামাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবীর, সুমন কুমার নন্দী, শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক ও আমিনুল ইসলাম।
এ মামলায় নিম্ন আদালত তাদের জামিন দিয়েছিলেন। পরে জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করে দুদক।
এর আগে আরেক মামলায় সুমন কুমার ছাড়া বাকিদের জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়:১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮,২০২১
ইএস/এমএমজেড