হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ৮ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ এমএলবি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের আদালতে মিয়াদ মিয়া (২৫) নামে ওই যুবকের জামিন মঞ্জুর হয়।
গত ১১ অক্টোবর নবীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে মিয়াদকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন। ওই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় গত ১৩ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বপ্রণোদিত রিভিশন মামলা দায়ের করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরহাদ এলাহী সেতু। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক ১৯ অক্টোবর ভিকটিম ও তার উপযুক্ত অভিভাবককে আদালতে হাজির করার জন্য নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে আদেশ দেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী ফরহাদ এলাহী সেতু বাংলানিউজকে বলেন, মোবাইল কোর্ট আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে অপরাধ সংঘটিত হলে তবেই সাজা দেওয়া যাবে। কিন্তু নবীগঞ্জের ঘটনাটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে ঘটেনি। মানুষের কাছ থেকে খবর পেয়ে, মানুষের কথা শুনে ইউএনও ওই যুবককে কারদণ্ড দিয়েছেন, যা মোবাইল কোর্ট আইনের ৬ ধারা পরিপন্থি।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করতে হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেই বিষয়টিও অনুসরণ করেননি। এজন্য তার আদেশটি বাতিলের জন্য আদালতে প্রার্থনা করেছি।
আইনজীবী ফরহাদ এলাহী সেতু বলেন, রিভিশন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুবককে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন। পরবর্তী তারিখে রিভিশনের শুনানি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২১
এমজেএফ