ঢাকা: এক যুগ আগে শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে রিট করা হয়েছে।
আইন ও সালিস কেন্দ্রের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) জানিয়েছেন আইনজীবী শাহীনুজ্জামান।
২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে রায় দেন তৎকালীন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
কিন্তু এক যুগেও এ রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট করে আইন ও সালিস কেন্দ্র।
রিটে রায় বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং রায় বাস্তবায়নে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়া রায় বাস্তবায়নের একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে জন প্রশাসনসহ ৪০ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বার কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
ইএস/এসআই