সিলেট: সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান (২৪) হত্যা মামলায় ১১ আসামির সবাইকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুমিনুন নেসা রায় ঘোষণাকালে আসামিদের প্রত্যেককে খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুবায়ের বখত এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষীরা প্রমাণ করতে পারেননি আসামিরা হত্যায় জড়িত। যে কারণে সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি দুপুরে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফটকে কাজী হাবিবুর রহমানের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা তার ডান পা ও হাতে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হাবিবের ভাই কাজী জাকির হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ইলিয়াছ আহমদ পুনম, ইমরান খান, সুবায়ের আহমদ সুহেল, ময়নুল ইসলাম রুমেল, তুহিন আহমদ, নাহিদ হাসান, আওয়াল আহমদ সোহান, আশিক, সায়মন ও নয়ন।
আসামিদের মধ্যে হোসাইন মোহাম্মদ সাগরকে কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। খুনের ঘটনার পর তাদের সবাইকের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নিহত হাবিবুর রহমান হাবিব ছিলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীঘাট গ্রামের কাজী সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে হাবিব। ইউনিভার্সিটির পাশে কানিশাইল এলাকার একটি মেসে থাকতেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
এনইউ/জেএইচটি