ঢাকা: শ্লীলতাহানির মামলায় সাত দিন কারাভোগের পর জামিন পেলেন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১৪ অক্টোবর বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে চিত্তরঞ্জন দাসের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার তার পক্ষে আইনজীবী শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া জামিন আবেদন করেন।
বাদীপক্ষে আইনজীবী মিনু রাণী রায় জামিনের বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। এর আগে জামিন লাভের পর লোকজনের মাধ্যমে বাদীকে পুনরায় ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির হুমকি দেন। এ অবস্থায় তার জামিনের বিরোধিতা করছি। ’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫০০ টাকা মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট দাখিল পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই নারী সবুজবাগ থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের নামে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি নিজেকে একজন গণমাধ্যমকর্মী বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরিব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে তার মোবাইল নম্বরে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই-চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
কেআই/আরআইএস