ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২২ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলাগুলো শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
তবে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন জানিয়ে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ২২ নভেম্বর ধার্য করেন। ওই দিন হাইকোর্টের আদেশ দাখিলে ব্যর্থতায় এসব মামলায় চার্জ শুনানি হবে।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।
এই ১১ মামলার মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নাশকতার ৮টি ও যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যাসহ ২টি। অপর মামলাটি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকার সিএমএম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের খভিযোগে দায়ের করা হয়। যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে শুনানি ছিল। অপর ১০ মামলা ছিল চার্জ শুনানির জন্য।
যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
অন্যদিকে ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
কেআই/এমজেএফ