ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে তাদের সম্মানিও ঠিক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বোর্ড গঠন করে দেওয়া আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে তাদের কার্যপরিসহ এ সম্মানি ঠিক করে দেওয়া হয়।
১৮ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার বোর্ড গঠন করে আদেশ দিয়েছিলেন। যেটির পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) পাওয়া গেছে।
এক গ্রাহক ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইলফোনভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনার রশিদও দিয়েছেন। কিন্তু পণ্য না পেয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতা ইভ্যালির সব নথি আদালতে আসার পর একটি বোর্ড গঠন করে আদেশ দেন।
পরিচালানা পর্ষদের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী প্রতি বোর্ড মিটিংয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক বার্ষিক সাধারণ সভার জন্য ২ লাখ টাকা সম্মানি পাবেন।
বোর্ডের সদস্য সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ এবং এফসিএ ফখরুদ্দিন আহমেদ প্রতি বোর্ড মিটিংয়ের জন্য ১০ হাজার টাকা করে এবং প্রত্যেক বার্ষিক সাধারণ সভার জন্য ১ লাখ টাকা করে সম্মানি পাবেন।
বোর্ডের অপর সদস্য ও এমডি অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবীর সরকারের কাছ থেকে বেতন এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন (অবসরের পূর্ব পর্যন্ত)। তবে অবসরে যাওয়ার পর সবশেষ সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বেতন অনুযায়ী ইভ্যালি তাকে বেতন নেবেন।
এছাড়া গ্রাহকরা আগামী ছয় মাস পরিচালনা পর্ষদকে অর্থ ফেরতে চাপ দিতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তারা সমস্যা সমাধানে ইভ্যালির হেড অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন।
এ মামলায় পরবর্তী আদেশের জন্য আদালত ২৩ নভেম্বর দিন রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
ইএস/জেএইচটি