ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিং ও অনলাইন বেটিং কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে নিজেই শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ক্রীড়া সচিব ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেড়ারেশন কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন ব্যারিস্টার সুমন।
পরে সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আপনি ফুটবলের নাম দিয়ে এক হাজার কোটি টাকা লুটপাট করবেন, জুয়া খেলবেন, মানি লন্ডারিং করবেন, এদের বিরুদ্ধে যদি ক্রিমিনাল কোনো ব্যবস্থা না নেন বা কেউ যদি মামলা না করে, তাহলে সে মনে করবে কী যে আমি ফুটবল না খেললাম, ব্যান থাকলাম কিন্তু এক হাজার কোটি টাকা তো বানিয়ে ফেলতে পারলাম। এ কারণে তাদের ফৌজদারি আইনের আওতায় আনতে রিট করেছি। আদালত রুল দিয়েছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিমিয়ার লিগের বিভিন্ন ম্যাচে আরামবাগের বিরুদ্ধে লাইভ বেটিং, স্পট ফিক্সিং, ম্যাচ পাতানো ও অনলাইন বেটিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগে তাদের দুই বছর নিষিদ্ধ করে দুধাপ নিচে প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। বেটিং ও ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ক্লাবটির সাবেক চার কর্মকর্তাকে আজীবন এবং আরও ১৬ জন কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়কে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি। বাংলাদেশের ফুটবলে পাতানো ম্যাচের অভিযোগে আগে শাস্তি হলেও বেটিং বা স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য এমন শাস্তি এবারই প্রথম। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও (এএফসি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ আগস্ট বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
ইএস/আরবি