নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক এমপি বরকত উল্লাহ বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ জনের নাম উঠে এসেছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল ইমাম ওরফে কমল (৩৯) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ১৬৪ ধারায় ফয়সালের জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সোমবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফয়সালকে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম সাঈদীন নাঁহীর আদালতে হাজির করলে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত রোববার ফয়সাল বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজুল্যাপুর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন এবং উসকানিমূলক বিভিন্ন পোস্ট দেন। এতে চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। অন্যতম উসকানিদাতা ও ইন্ধনদাতা হিসেবে তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। নোয়াখালীর ঘটনায় মোট ২৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ২০০ জনকে। রোববার ফয়সাল ছাড়াও বিএনপি-জামায়াতের আরও ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর সোমবার রাতে তার জবানবন্দি নিয়ে তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে চৌমুহনীর আটটি পূজামণ্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং হিন্দুদের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
এসআই