ঢাকা: পারিবারিক বিষয় নিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক মাসউদুর রহমানসহ ছয় জনের নামে মামলা করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমের ছেলে মুশফেক আলম সৈকত।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) আদালত সূত্রে মামলার বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে, সোমবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চ্যানেল ২৪, টেলিভিশনটির বার্তা সম্পাদক, বাদী সৈকতের স্ত্রী তাসনোভা ইকবাল ও তাসনোভার মা নাজমা সুলতানা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর মুশফেক আলম সৈকত ও তাসনোভা ইকবাল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরের বছর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের পর তাসনোভা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেয়। সৈকত চাকরি ও ক্যারিয়ার ফেলে তাসনোভার সঙ্গে সন্তান নিয়ে মালয়েশিয়া যান। তাসনোভা পড়ালেখার জন্য বাসার বাইরে থাকতেন। সৈকত সন্তানের দেখাশোনা করতেন। সন্তানের জন্য পড়াশোনার অসুবিধা হচ্ছে বলে সন্তানসহ সৈকতকে দেশে ফিরে আসতে বলেন। এ নিয়ে ঝামেলা করেন তাসনোভা।
বিষয়টি সে দেশের পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। পরে সৈকত বিষয়টি নিয়ে বাবার সঙ্গে আলাপ করে সন্তানকে নিয়ে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দেশে ফিরে আসেন। এর ১১ মাস পর দেশে আসেন তাসনোভা।
সৈকতের অভিযোগ, দেশে ফিরে সন্তানের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে তাসনোভা ঐচ্ছিক কনফারেন্স এবং বিনোদনমূলক ভ্রমণে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড যান। সেখান থেকে ফিরে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সৈকতের বাসায় এসে ঝগড়া, ভাংচুর করে। পরে তাসনোভা তার সন্তানকে ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। সৈকত এবং তার বাবার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত তাসনোভাকে তার সন্তানকে ভিডিও কলে দেখার আদেশ দেন। সৈকত এবং তার পরিবারকে হেয় করতে ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা দাবি করে দেন মোহর ও খোরপোষের দাবিতে আদালতে আরও একটি মামলা করেন তাসনোভা। সন্তানকে দেখতে চাওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু আদালতকে জানাননি তিনি।
এমতাবস্থায় আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে প্রকৃত সত্য মিথ্যা যাচাই না করে তাসনোভা এবং তার মায়ের বক্তব্য নিয়ে গত ২২ অক্টোবর চ্যানেল ২৪ প্রতিবেদন সম্প্রচার করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
যে কারণে বাদীর পিতা ও পরিবারের মানহানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
কেআই/জেডএ