ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আবদুল বাসেত মজুমদারের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন প্রমুখ।
অংশ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
জানাজার আগে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও মরহুমের ছোট ছেলে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
জানাজা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এখন তাকে কুমিল্লার লাকসামে নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৮ টা ১৮ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
‘গরিবের আইনজীবী’ হিসেবে খ্যাত আবদুল বাসেত মজুমদার আইন পেশায় ৫৬ বছর পার করেছেন। ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক।
তিনি ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লার লাকসাম (বর্তমানে লালমাই) উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আব্দুল আজিজ মজুমদার, মা জোলেখা বিবি। স্থানীয় হরিচর হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (এসএসসি) এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ (এইচএসসি) ও বিএ পাস করেন তিনি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৬ সালে ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবীর বড় ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ব্যবসা করে। ছোট ছেলে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ রাজা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। দুই মেয়ের মধ্যে ফাতেমা আক্তার লুনা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। সর্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিকে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছে। ছোট মেয়ে খাদিজা আক্তার ঝুমা উত্তরা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭,২০২১
ইএস/এএটি