ঢাকা: অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি এবং তাম্মির মা সুমি আক্তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন।
রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই তিনজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন একই আদালত। ওইদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মিজানুর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স দেওয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে ডিভোর্স দেননি তামিমা। স্বামী থাকা অবস্থায় অবৈধ বৈবাহিক সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে তারা ৪৬৮/৪৭১/৪৯৪/৪৯৭/৫০০/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এই প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। তবে, আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা না দিয়ে তাদের আদালতে হাজির হতে সমন দেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী দাবি করে রাকিব হাসান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায় মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন।
মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশুকন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
কেআই/এএটি