ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আইনজীবী ছাড়াই সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়ালেন রুবিয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
আইনজীবী ছাড়াই সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়ালেন রুবিয়া রুবিয়া আক্তার।

ঢাকা: তিন দশক আগে ময়মনসিংহের গৌরিপুরে গড়া বাংলাদেশ মহিলা উন্নয়ন সমিতি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন রুবিয়া আক্তার (৬১)। কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ এনে তার এনজিওটিকে কালো তালিকাভুক্ত করায় রিট করেছিলেন তিনি।

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর জয়ও পেয়েছিলেন হাইকোর্টে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদনের পর সেই মামলার আর শুনানি হয়নি। তাই রুবিয়া নিজেই এ মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের দ্বারস্থ হন।

রোববার (৩১ অক্টোবর) আপিল বিভাগের ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে সংযুক্ত হয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। এ সময় প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে রুবিয়া বলেন, তিনি কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেননি।

আদালতে তিনি বলেন,২০১৮ সালে হাইকোর্ট তার পক্ষে একটি রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই আবেদনের শুনানি হয়নি।

তখন আদালত বলেন,আমরা কিন্তু মামলার নথি দেখে আইন অনুযায়ী বিচার করবো। আপনি একজন আইনজীবী নিয়ে আসেন। রায় আপনার পক্ষেও যেতে পারে আবার বিপক্ষেও যেতে পারে। যে কোনোটাই হতে পারে। এটাই চূড়ান্ত আদালত।

এরপর আদালত মামলাটি আগামী বুধবার কার্যতালিকাভুক্ত করতে বলেন।   

নারী সমাজের মুক্তি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে ১৯৮৭ সালে সংস্থাটির কার্যক্রম শুরু করেছিলেন রুবিয়া। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক তিনি। এটির প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহে। আর ঢাকার অফিস মোহম্মদপুরে। ১৯৮৯ সালে মহিলা অধিদপ্তরের, ১৯৯১ সালে পরিবার পরিকল্পনার এবং ১৯৯৭ সালে এনজিও অফিস ব্যুরো থেকে নিবন্ধিত হয় এ সংস্থাটি। পরবর্তীকালে ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে দুই বার রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার পায়।

রুবিয়া আক্তার বলেন, ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল মোটরসাইকেল ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এনে বাংলাদেশ মহিলা উন্নয়ন সমিতিকে কালো তালিকাভুক্ত করে সরকার। এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি।  হাইকোর্ট ২০১৮ সালে কালো তালিকার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ আদেশের পরে আমাদের পাওনা ২৫ লাখ টাকা ফেরত চাই। তখন রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে। যেটি আপিল বিভাগে এখন শুনানির অপেক্ষোয় আছে। এ কারণে নিজেই আইনজীবী ছাড়া সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। মামলাটি পরিচালনা করতে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেবেন বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়:০০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
ইএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।