মানিকগঞ্জ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমার বড় ভাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় শান্তি কমিটির চার রাজাকার তাকে না পেয়ে আমার বাবা আব্দুস সালাম মুন্সিকে হত্যা করে ঢাকা জেলার সাভারের কর্ণপাড়া খালে ফেলে রাখে এবং ৪ দিনপর তার রক্তাক্ত পাঞ্জাবি পাই আমরা। ’
কথাগুলো বলছিলেন মৃত সালাম মুন্সির ছোট ছেলে মোশারফ হোসেন খোকন।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আসামিসহ মোট চারজন আমাদের বাড়ি ঢুকে আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করেন। ওই চারজন রাজাকার পাকবাহিনীর সহায়তায় আমার বাবাসহ তিনজনকে অপহরণ করে। পরে বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু তাকে আমরা আর পাইনি। লোক মারফত জানতে পারি পাকিস্তানি বাহিনীর সহায়তায় ওই চার রাজাকার বেয়নট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে ঢাকা জেলার সাভারের কর্ণপাড়া খালে ভাসিয়ে দেয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্থানীয় রাজাকার বরকতউল্লাহ, গোলাম আজম, আব্দুল মান্নান ও বাদশা ফকির বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাহের বিল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্য খুঁজতে আসে। ওই মুক্তিযুদ্ধাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতো। পাক বাহিনীর সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাহের বিল্লার পিতা আব্দুস সালাম মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে ঢাকা জেলার সাভারের কর্ণপাড়া খালে হত্যা করে।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, সকালে সালাম মুন্সির ছোট ছেলে মোশারফ হোসেন খোকন ১৯৭৩ সলের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২০ (২) ধারায় একটি মামলা করেন। অত্র মামলাটি ঢাকাস্থ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩ ২০২১
এনটি