ঢাকা: সাতক্ষীরায় পল্লি বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে সাত বছরের এক শিশুর অঙ্গহানির ঘটনায় কী ধরনের চিকিৎসা হয়েছে এবং আরও কী চিকিৎসা প্রয়োজন সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধানকে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ওই শিশুর বাবার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম ও মুহম্মদ তারিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রুলে ওই ছেলের অঙ্গহানির ঘটনায় যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব, বাংলাদেশ পল্লিবিদ্যুৎ উন্নয়নের চেয়ারম্যান, পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, জোনাল ম্যানেজার, সাতক্ষীরা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, প্রকল্প পরিচালক, সাতক্ষীরার ডিসি ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মামলাটি ১৮ নভেম্বর ফের কার্যতালিকায় আসবে।
রিটকারীর আইনজীবী মুহম্মদ তারিকুল ইসলাম এক জানান, সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরের মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর বসতবাড়ির ওপর দিয়ে নকশা বর্হিভূতভাবে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে তার সাত বছরের শিশু রাকিবুজ্জামানের হাড়-মাংস ঝলসে ডান হাত এবং ডান পা হারিয়েছে।
চলতি বছর মার্চে সাতক্ষীরা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি নকশা পরিবর্তন ও আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতল বাসবভনের ওপর দিয়ে ক্যাপ ও কভারবিহীন বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করে। এই লাইনে সংযোগ না দিতে পাটকেলঘাটা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর আবেদনও করেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। পরবর্তীতে ০৯ মে আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর ৭ বছরের শিশুপুত্র রাকিবুজ্জামান ওই বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয় এবং এতে তার শরীর ঝলসে হাড়-মাংস খসে পড়ে। রাকিবুজ্জামানকে তাৎক্ষণিকভাবে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ মে রাকিবুজ্জামানের ডান হাতের বগল থেকে ও ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়।
এ ঘটনার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৫ মে আব্দুর আব্দুর রাজ্জাক ঢালী সাতক্ষীরা পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ক্ষতিপূরণসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু বিবাদীরা ক্ষতিপূরণ দেননি এবং অন্য কোনো ব্যবস্থাও নেননি। তাই আব্দুর রাজ্জাক ঢালী এ রিট করেন।
শিশুর অঙ্গহানি: শত কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮ , ২০২১
ইএস/এসআইএস