ঢাকা: গাজীপুর জেলায় পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ২০৬টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
৬০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কাওছার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
গত ৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের বাসিন্দা মেহেদী হাসান এ রিট দায়ের করেন।
রুলে গাজীপুর জেলায় ছাড়পত্রবিহীন ২০৬টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটের বিবাদীরা হলেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সাত জন।
আইনজীবী কাওছার হোসেন জানান, আবেদনকারী মেহেদী হাসান তার স্ত্রীকে গাজীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু ওই হাসপাতালের হাইজেনিক পরিবেশ ছিল না। এই পরিবেশ না থাকায় হাসপাতালের রোগীরা মেডিকেল বর্জ্য-ময়লা আবর্জনার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে গত ৪ এপ্রিল গাজীপুরের জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসে সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের পরিবেশ ছাড়পত্রের তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ২৪টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া গাজীপুরে ২০৬টির পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব পেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। শুনানি শেষে আদালত রুলসহ আদেশ দেন বলে জানান আইনজীবী কাওছার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
ইএস/এমজেএফ