ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্রশ্নফাঁস: ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৩ জন রিমান্ডে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
প্রশ্নফাঁস: ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৩ জন রিমান্ডে  রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা

ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ব পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারসহ আরও তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

 

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন, সোহেল রানা ও ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবেদ জাহিদ।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে বাড্ডা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর রনপ কুমার এ তথ্য জানান।

এ মামলায় গ্রেফতার আরও পাঁচ আসামির বুধবার (১০ নভেম্বর) ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।

আদালত প্রশ্নফাঁসের মূলহোতা আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার অফিসার শামসুল হক শ্যামল (৩৪) ও পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলনের (৩৮) দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

অপর দুই আসামি রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন (৩০) ও চাকরি প্রার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পাঁচটি ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) পদে এক হাজার ৫১১ জন জনকে নিয়োগ দিতে ৬ নভেম্বর বিকেলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

হাফিজ আকতার বলেন, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবে ৫ নভেম্বর রাতে এমন তথ্য আসে ডিবির কাছে। ডিবির টিমের সদস্যরা ছদ্মবেশে পরীক্ষার্থী সেজে ৬ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে প্রশ্নপত্রসহ উত্তর পাওয়ার জন্য চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অগ্রিম টাকা পরিশোধের পর প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা রাইসুল ইসলাম স্বপন ডিবির ছদ্মবেশী পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যান। এরপর পরীক্ষার উত্তরপত্রসহ স্বপনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।  

গত ৬ নভেম্বর পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সঙ্গে সকালে পাওয়া প্রশ্ন ও উত্তর হুবহু মিলে গেলে স্বপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপালী ব্যাংকের সাভার শাখার শ্রীনগর থেকে জানে আলম মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।  

রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহকারী শামসুল হক শ্যামলকে ধরতে প্রথমে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অভিযান চালানো হয়। পরে জানা যায়, শ্যামল ঢাকায় অবস্থান করছেন। এরপর ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আর বুধবার (১০ নভেম্বর) রাতে সোহেল, খোকন ও জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
কেআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।